মানচিত্রে বড়াইগ্রাম উপজেলা
প্রাচীন ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় অন্যান্য উপজেলা হতে বড়াইগ্রাম উপজেলাকে সহজেই পৃথক করা যায়। এক সময়ের বড়াইগ্রাম উপজেলা হেড কোয়ার্টার বনজঙ্গলে ভরা ছিল। বনপাড়া-পাবনা মহাসড়ক এ্বং বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়ক হওয়ার পর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে বড়াইগ্রাম উপজেলার গুরুত্ব অন্যান্য উপজেলার চেয়ে বৃদ্ধি পায়। বড়াইগ্রাম উপজেলার শতকরা ৮০ ভাগ লোক কৃষিজীবি। খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। শীতে এখানে প্রচুর খেজুরের গুড় উৎপাদিত হয়। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রেরণ করা হয। এলাকার উঁচু জমিতে সারা বছর বিভিন্ন প্রকার শাক সবজি জন্মে। বর্ষায় বিস্তীর্ণ এলাকার ধান ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়। এতে নানা রকম দেশী মাছের সমারোহ দেখা যায়। অনেক পূর্ব হতেই বড়াইগ্রামের সাথে রাজধানী ঢাকাসহ উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। ফলে কৃষিজাত পণ্য, মাছ,ফল ও শাক সবজী দেশের অন্যত্র প্রেরণ সহজ হয়েছে। এ উপজেলায় মোট ২৬২০৯ হেকটর আবাদী জমি রয়েছে। এখানকার মাটি বেশ উর্বর। প্রায় ১০০% জমি সেচ সুবিধার আওতায় রয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সারা বছর ধরে ফসল উৎপাদন করতে উপজেলার কৃষকরা খুবই দক্ষ। উপজেলার অধিকাংশ এলাকা উঁচু থেকে মাঝারী উঁচু হওয়ায় স্বাভাবিক বন্যায় ফসল হানির ঝুঁকি কম। ফসল উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের আগ্রহের কমতি নেই। বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজী যেমন- পুঁইশাক,লালশাক,ঢেঁড়শ,শিম, মুলা, গাজর, করলা, চিচিংগা,বেগুন, চালকুমড়া,মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরণের ফল যেমন আম,লিচু, কলা,কুল ইত্যাদি। এছাড়াও ধান,গম,পাট,মুগ,মশুর,সরিষা,খেসারী, ভুট্রা,রসুন ও আখ উৎপাদিত হয়। আর্থ-সামাজিক দিক থেকে এ উপজেলার প্রায় ৭০% কৃষক স্বচ্ছল। কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করা গেলে উপজেলার মোট উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি করা সম্ভব।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস