গীর্জাটি নাটোর জেলা শহর হতে ১২ মাইল পূর্বে বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের সন্নিকটে বনপাড়া নামক স্থানে অবস্থিত । ১৯৪০ সালে ইতালিয়ান মিশনারিজগন ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে বনপাড়ায় আসেন এবং গীর্জার আসে পাশের এলাকাকে নিয়ে ধর্ম পল্লী ঘোষনা করেন। ১৯৫২-১৯৫৪ খ্রী: পর্যন্ত বনপাড়া ধর্ম পল্লীর দায়িত্বে ছিলেন ফা: থোমাস কাত্তানো। তিনি এখানকার সব মানুষকে ভালবাসতেন এবং সেবাযত্ন চিকিৎসা করতেন ।তিনি ১৯৫২ ডিসপেনসারী চালু করেন এবং অনেক মানুষকে সুস্থ করেন কিন্ত তিনি নিজে অসুস্থ হয়ে মারা যান। তারপরে ফা: কার্নেভালে এখানে আসেন এবং এখানকার যুব সমাজকে নিয়ে কাজ শুরু করেন।
১৯৫৮ সালে লুর্দের অমলোদ্ববা কুমারী মারিয়া নামে নতুন গীর্জা নির্মিত হয় এবং প্রভু বিশপ অবের্ত তা আশির্বাদ করেন। যদি ও এই গীর্জা নির্মাণের জন্য ফা: কানেভালের অনেক প্রচেষ্টা ও অনুদান রয়েছে তথাপি তিনি আশীর্বাদ অনুষ্ঠান পর্যন্ত থাকতে পারলেন না। তিনি সুদীর্ঘ ৩৫ বছর মিশনারী কাজ করার পর এর কয়েক মাস পূর্বে বিশ্রামের জন্যেই ইতালীতে চলে যান । এরপর ফা: ভেরুপেল্লি নিজের মনের মত করে গীর্জাটি নির্মাণ করেন যা উত্তরবঙের অন্যান্য গীর্জা থেকে সুন্দরঔ আকর্ষনীয় ।
সর্বশেষ গীর্জাটি নতুন ভাবে আধুনিক স্থাপত্য কৌশল ব্যবহার করে নিমির্ত হয় ২০১২ সালে। যা খুবই দৃষ্টি নন্দন ও আকর্ষনীয় ।এই গীর্জাটি দেখতে দেশী বিদেশী অনেক পযার্টক আসেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস